মিয়ানমার থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে গুলি চালানোর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে বলে আল-জাজিরা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অভিবাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, এমন মন্তব্যও করেছে আল-জাজিরা।

মায়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ঘুমধুমের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইউনুসের বক্তব্য সামনে এনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না।
কারন? মায়ানমারের সেনাবাহিনীর কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম আন্তঃসীমান্ত গুলিবর্ষণ এবং গোলাবর্ষণ, যা বিশেষজ্ঞদের মতে আরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার একটি উপায় হতে পারে। “আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রতিনিয়ত বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কখনও কখনও বিস্ফোরণ হয়,” ইউনুস টেলিফোনে আল জাজিরাকে বলেন।

“আমরা আমাদের বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে এসেছি। আমরা আমাদের জীবনের জন্য ভীত,” ইউনুস এর বক্তব্য। মিয়ানমার থেকে গোলাগুলি প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, বাংলাদেশে নতুন রোহিঙ্গাদের অভিবাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে এবং সেই সাথে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা হ্রাস করছে।

এদিকে বান্দরবান প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ঘুমধুমে বসবাসকারী প্রায় ৩০০ পরিবারকে আরও অভ্যন্তরীণ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সীমান্ত এলাকার নো-ম্যানস ল্যান্ডেও প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। গত শুক্রবার, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের একটি স্থলভাগে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত এবং আরও চার বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়।

সূত্র : আল-জাজিরা