দুবাইতে ফ্রেন্ডশীপ টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ বাংলাদেশ কোন রকমে হার এড়িয়ে লজ্জা থেকে রেহাই পেলে দুবাইয়ের বিপক্ষে। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় মাঠে নামে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ম্যাচটি জিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করছে।

টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারের আগেই তো মহা বিপদে পড়ে টড অর্ডার হারিয়ে। আফিফ একক যুদ্ধ ১৫৮ রানে নিয়ে যায় দলকে। ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামা দুবাই শেষ অবদি লড়াই করেছে। ২০ ওভারের শেষ ২ বল বাকী থাকতে অলআউট হয়, তবে ১৫১ রান অবদি গিয়ে হেরে যাওয়াটা ছিল খুবই কষ্টের। এখানে দুবাই মুলত বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কাছেই মার খেয়েছে।

দুবাইয়ের ওপেনার সুরির ৩৯ রানের পর তিন টপ অর্ডার বেশি কিছু করতে পারেনি। মিডল অর্ডারে আফজাল খানের মারমুখি ২৫ রানের সঙ্গে যদি কার্তিক (১২), জুনায়েদ (১১) আর সাব্বিরের (০) না হয়ে যদি একটু বেশি হতো তাহলেই আজ বাংলাদেশে কপালে দুঃখ ছিল। দুবাইয়ের বিপক্ষে টি২০ হারের লজ্জাটাও হজম করতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশে স্পিনার মিরাজ ৩টি, মুস্তাফিজ ২টি আর শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেই মুলত লজ্জা থেকে রেহাই দিয়েছে।

অধিনায়ক সোহান ও আফিফের ৫ম জুটি দাপুটে ব্যাটিংয়েই আসলে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশ ১৫৯ রানের বড় লক্ষ্য হাতে পায়। শুরুতে অবশ্য তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ বড় সংগ্র করে। আফিফ ৭৭* ও সোহান ৩৫* রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে অবশ্য আফিফ তার ব্যাক্তিগত অর্ধ শতক পূর্ণ করেন ৩৯ বলের মোকাবিলা করে। তার এই ৫০ এর উনিংসে ৫টি চার ও ১ টি ছয়ের মার ছিল।

বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতেই ২.৫ ওভারে ২৬ রান করতে সাজঘরে ফিরেন সাব্বির রহমান রুম্মান ও লিটন কুমার দাস। দুজনই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কোনো রান না করে আউট হয়ে যান সাব্বির। মিরাজ করেছিলেন ১৪ বলে ১২ রান। এরপর ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান লিটন কুমার দাস। ওপেনিং থেকে তিন নম্বরে নেমে আসার প্রভাবই কী তাহলে পড়লো লিটনের ব্যাটিংয়ে?

ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা দেখালেন ইয়াসির আলী রাব্বিও। ৭বল খেলেছেন, করেছেন কেবল ৪ রান। এরপরই মেইয়াপ্পনের বলে বোল্ড হয়ে যান রাব্বি। অর্থ্যাৎ ৪৭ রানে পড়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট। ৭.১ ওভারে ৪৭ রান করতেই প্রথমসারির ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমান রুম্মন ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তারপরই দলের হয়ে হাল ধরেন সোহান ও আফিফ হোসেন। আফিফ ৭৭* ও সোহান ৩৫* রানে অপরাজিত থাকেন।