বাংলাদেশ ধান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর বলেন, আমরা ব্রি’কে ভালবাসি। ব্রি’র মাধ্যমে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছি। এ উদ্বৃত্তের বাংলাদেশকে আমরা টিকিয়ে রাখবো। এ হোক আমাদের আজকের শপথ। শনিবার দুপুরে বাংলাদশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রি’র মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। ব্রি’র সিনিয়র লিঁয়াজো অফিসার আব্দুল মোমিনের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. আমিনা খাতুন, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান মো: সিরাজুল ইসলাম, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো: আব্দুল লতিফ, ব্রি কর্মকর্তা কল্যান সমিতির সভাপতি মো: রাশেল রানা, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ব্রি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম, ব্রি কর্মচারী ক্লাবের সভাপতি আমিনুজ্জামান রিটন, ব্রি শ্রমিক সমিতির সভাপতি রহিম উদ্দিন।

ব্রি’র মহাপরিচালক আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনাসহ সকল প্রতিকুল পরিস্থিতি আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন ঠিক রাখতে হবে। এজন্য আমাদের আরো কাজ করতে হবে। মানুষের এক নম্বর মৌলিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব হলো ব্রি’র বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর উপর। তাই আমাদের উপর দায়িত্বটা সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।

আলোচনাসভার আগে ব্রি’র চত্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বেলুন উড়ানো, কেক কাটা , বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গতঃ ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ব্রি সাতটি হাইব্রিডসহ ১০৮টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া আধুনিক ধান চাষের জন্য মাটি, পানি ও সার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০টিরও বেশি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ৫১টি লাভজনক ধানভিত্তিক শস্যক্রম উদ্ভাবন ও ৩৪টি কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।