৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় হাজত খাটলেন ঠিকাদার বেল্লাল । ঠিকাদার বিল্লাল লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের মাওলানা ছফি উল্লাহর পুত্র।

বাদীর অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়,সিলেটের ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ (লায়েক) এর সাথে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেলাল এন্ড ব্রাদার্সের সত্বাধিকারী বিল্লাল হোসেনের সাথে পূর্ব থেকে ব্যবসায়ীক পরিচয়ের সুবাদে আসামি বিল্লাল হোসেন বিভিন্ন সময় বাদীর নিকট থেকে প্রায় ৭০লাখ টাকা হাওলাত নেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ঠিকাদার বিল্লাল হোসেন বাদীর টাকা পরিশোধ না করায়। বাদী ঠিকাদার বিল্লালের অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে। আসামি বিল্লাল হোসেন বাদীকে ৩৫ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন।

চেকটি ঢাকার ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, মগবাজার শাখা। চেক নং- C0460451. বাদী ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে ঠিকাদার বিল্লালের দেয়া ৩৫ লাখ টাকার চেকটি ডিজঅনার হয়। এমতাবস্থায়, বাদী তার পাওনা টাকা না পেয়ে ২১সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে ঠিকাদার বিল্লালকে উকিল নোটিশ পাঠায়।ঠিকাদার বিল্লাল হোসেন উকিল নোটিশের জবাব না দেয়ায়। আবুল কালাম আজাদ (লায়েক) বাদী হয়ে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রাট আদালতে ১৩৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আদালত আসামি ঠিকাদার বিল্লালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। গত ৪ আগষ্ট আসামি ঠিকাদার বিল্লাল হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে।বিজ্ঞ আদালত আসামির জামিন বাতিল করে, আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

দীর্ঘ ৪ দিন হাজত খাটার পর ১৭ লাখ টাকা কোর্টে জমা দিয়ে আসামি ঠিকাদার বিল্লাল হোসেন জামিনে বের হন। জামিনে বের হওয়ার পর হতে আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাদী। এব্যাপারে ঠিকাদার বিল্লালের বক্তব্য নেয়ার জন্য মহাখালীর ডিওএইচ এস ২৯নং রোডের ৪০৭ নং বাড়িতে গিয়ে বেলাল এন্ড ব্রাদার্সের কোন অফিস পাওয়া যায়নি।

মারুফ সরকার

ঢাকা