লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিএনপির যৌথ মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগের বাধায় প্রদান করেন। এসময় ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক বরকত হোসেন ছাত্রলীগের কেউ আহত হয়নি দাবী করেন।

শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশনের সামনে বুড়িমারী লালমনিরহাট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মহিদুল (২৫), মহিদুল (৩৫), রিফান (২২), রুমন ইসলাম (২২), আরিফুল ইসলাম (২৪), উৎসব (২৩), নাসির উদ্দীন আসাদুল্লাহ (২৩), জাহিদুল ইসলাম (২৮), জাহিদুল ইসলাম (২৪), সুজন (২৪), রবি ইসলাম (৩২), নুরন্নবী কাজল (৪০), হাতীবান্ধা থানার একজন উপ পরিদর্শকসহ আরও একজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপি’র দলীয় অফিস থেকে আলোচনা সভা শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মেডিকেল মোড় এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। এ সময় তারা ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে পিছু হটেন। পরে পিছন থেকে ছাত্রলীগ ধাওয়া করলে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা পিছু হটে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কে অবস্থান করেন। সেখানেও বাঁধার মুখে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনেকটা বাধ্য হয়ে এলাকা ত্যাগ করেন।
এরপর বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করেন। এতে ছাত্রলীগের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে পিছু হটে। এতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মহিদুল ইসলামসহ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন। হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। এতে পুলিশের একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।