বলের দখল শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার। একের পর এক আক্রমণ আর পালটা আক্রমণে নাস্তানাবুদ করে তুলেছিলেন সৌদি আরবের রক্ষণভাগকে। খেলার ২৯ মিনিটের সময় তেমনি ক্লান্ত আরব রক্ষণভাহে আক্রমণে যায় আর্জেন্টাইনরা। মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে এগিয়ে যান লাউতেরা মার্টিনেজ। তার গোলে উল্লাসে মেতে উঠে আকাশী-নীল জার্সিধারিরা। কিন্তু পরমুহূর্তে ভিএআর চেক জানায় অফসাইডের কারণে বাতিল গোলটি।

উল্লাসের জায়গায় তখন জায়গা করে নেয় হতাশা। প্রথমার্ধে এর আগে মেসিরও একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এভাবে ৪-০ গোলে এগিয়ে থাকার কথা থাকলেও ১-০ তেই সন্তষ্ট থাকতে হয় মেসিদের। কারণ অফসাইডে তিনটি গোল বাতিল করেছেন রেফারি।

যদিও ম্যাচের ১০ মিনিটের সময় এগিয়ে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি শটে মেসির দেওয়া গোলে লিড পেয়েছিল তারা। খেলার ২২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান তিনি। বল জালে জড়িয়েওছিলেন। কিন্তু রেফারি অফসাইডের পতাকা উঁচিয়ে ধরলে বাতিল হয় গোলটি। ২৯ মিনিট পর মার্টিনেজের গোলটিও বাতিল হয় একই কারণে। পাঁচ মিনিট পর একই কারণে ফের মার্টিনেজের আরও একটি গোল বাতিল হয়।

আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব ম্যাচের প্রথমার্ধে ৬০ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বলের দখল রেখেছিলেন মেসিরা। এসময় তারা ৭ বার আক্রমণ চালায়। যার ‍দুটি আবার গোল বার লক্ষ্য করে। কিন্তু এসময় তারা অফসাইড করেছে মোট ৭ বার। যার মধ্যে তিনবার তারা গোলের দেখা পেয়েছিল। কিন্তু সবগুলোই হয়েছে বাতিল।