ঢাকায় হয়ে গেল চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলনমেলা। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে বসে মেজবানের খানাপিনার উৎসব। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মেজবানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

মেজবান উপলক্ষে পুরো মাঠে টানানো হয় শামিয়ানা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৮০ হাজার মানুষকে এবারের মেজবানে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল বলে জানান আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বিখ্যাত বাবুর্চি মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে ৩৯০ জনের একটি দল তিন দিন আগে থেকেই মেজবানের খানাপিনার আয়োজন শুরু করে। খাবারের তালিকায় ছিল গরুভুনা, সাদা ভাত, নেহারি ও ডাল। আর মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলে ১০ দিন ধরে। শুক্রবার সকাল পেরিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেজবানে উপস্থিত হতে থাকেন অতিথিরা। তাদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিবিদ, আমলা, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

মেজবান উপলক্ষে সকালে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোড থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। মেজবানের অতিথিদের যাতায়াত নির্বিঘœ ও নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কটি বন্ধ করা হয় বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘চট্টগ্রাম সমিতি পদক’ দেয়া হয়। তারা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আবুল মোমেন, নাট্যচর্চা অভিনয় ও শিক্ষায় মমতাজউদ্দীন আহমেদ, সমাজকল্যাণ ও চট্টগ্রাম সমিতিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার জন্য তামিম ইকবাল। মেজবানের পর শুরু হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগীতশিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।