ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশসহ সাত দফা দাবিতে কজর্মবিরতি পালন করছেন নৌ শ্রমিকরা। ফলে সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো লঞ্চ।

বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, সকাল থেকে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এছাড়া বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলও।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ূন আহমেদ বলেন, রাতে সারাদেশ থেকে ৩৫টি লঞ্চ সদরঘাটের পন্টুনে ভিড়লেও সকালে (রোববার) কেবল একটি লঞ্চ ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

তিনি জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত চাঁদপুর ও ভোলার ইলিশা রুটে ১০টির মতো লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে সেগুলো ছেড়ে যায়নি।

শ্রমিকদের কর্মবিরতিকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ বলে করেছে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি। সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল বলেন, শ্রমিকরা ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বেতন পায়। আর ২০ হাজার টাকার দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। কারণ লঞ্চে এখন যাত্রী অর্ধেকে নেমে গেছে। কোনোরকমে টিকে আছে লঞ্চ মালিকরা। সামনে পাঁচ বছর পর যাত্রীবাহী লঞ্চ থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।