বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সরেজমিন গবেষণা বিভাগের আয়োজনে ‘বারি উদ্ভাবিত উন্নত জাতের তিল ফসলের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন প্রযুক্তি’ শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সোমবার বিকেলে বারি’র প্রটোকল অফিসার মো. আল-আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

বারি’র জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মঞ্জুরুল কাদির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র বীজ প্রযুক্তি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান, ময়মনসিংহ সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান এবং ত্রিশাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. ফেরদৌসী বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ময়মনসিংহ এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. এমরাউল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, বর্তমানে দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৮৮% তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের মোট চাহিদার ৪০% তেল দেশেই উৎপাদন করতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জাপানে তিল বীজ রপ্তানি হচ্ছে। তিলের অন্যান্য প্রচলিত জাতের তুলনায় বারি তিল-৪, ৫ ও ৬ এর ফলন ২-৩ গুণ বেশি হয়। তাই তিল ফসলের চাষ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা দেশে তেলের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করতে পারবো তেমনি তিল রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

মহাপরিচালক আরো বলেন, তিল মানবদেহের জন্য একটি অতি উপকারী ভোজ্য তৈল যা অসময়ে চাষ করা যায়। দুই ফসলের মধ্যবর্তী সময়ে আন্তঃফসল হিসেবে চরাঞ্চল বা পতিত জমি যেখানে কোনো কিছুই ফলতো না, অথচ সেখানে বারি উদ্ভাবিত উন্নত জাতের তিল চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

বারি’র ‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (বারি অংগ)’ এর অর্থায়নে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রায় ১শ’ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।