জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবা স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে গত সোমবার আদালতে মামলা করেন। স্বামীর মারধর ও যৌতুক দাবির অভিযোগ আনেন এই অভিনেত্রী। সারিকার এই মামলাটি আমলে নিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত। সারিকাকে খুবই বাজেভাবে শারীরিক আঘাত করেছেন স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী)। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানালেন সারিকা সাবা।

সারিকা দাবি করেন, বিয়ের আগেই স্বামী রাহী তাকে মারধর করতেন। শুধু এই অভিনেত্রী ভেবেছিলেন বিয়ের পর হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হলো উল্টোটা, দিনকে দিন তার ওপর নির্যাতনের মাত্র আরও বাড়িয়ে দেন রাহী। তাই বাধ্য হয়েই বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হচ্ছে বলে জানান এই অভিনেত্রী।

সারিকা বলেন, ‘আমি সংসার জীবন নিয়ে অতিষ্ট। সে (রাহী) আমাকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক-সব দিকেই টর্চার করেছে। একজন নারী কখন ঘরের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আনে- এটা সবাইকে বুঝতে হবে। বিষয়টি পারিবারিকভাবে বেশ কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দিনকে দিন আরও খারাপের দিকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে বিচার চেয়ে আদালতে গিয়েছি।’

আকদ হওয়ার আগেই রাহী তার গায়ে হাত তুলেছিলেন জানিয়ে সারিকা বলেন, ‘এমন অনেক ঘটনা আছে যা বলে শেষ করা যাবে না, ওসব বাদ। ভেবেছিলাম বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের পর সে নানাভাবেই আমাকে আঘাত করত।’

বিয়ে-দেনমোহর আর যৌতুককের বিষয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের বিয়ের সময় ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, আসবাবসহ সাংসারিক জিনিসপত্র দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই সে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। আমার পরিবার থেকে সে টাকা আনার চাপ দেওয়া শুরু করে। আমি রাজি হইনি বলে সে আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা শুরু করে। এই নির্যাতন থেকে বাঁচতেই মামলা করেছি।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মডেলিং দিয়ে শোবিজে পা রাখেন সারিকা। এরপর ২০১০ সালে নির্মাতা আশুতোষ সুজনের ‘ক্যামেলিয়া’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। আর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রাহীকে বিয়ে করেন সারিকা। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে।