স্পেনের মাদ্রিদ শহরে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতসহ অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ ব্যক্তিদের নিশানা করে একাধিক চিঠি বোমা পাওয়ার ঘটনার পর এবার ইউরোপের আট দেশে ইউক্রেন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে ‘রক্ত-ভেজা’ পার্সেল পাওয়ার কথা জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এসব পার্সেলে প্রাণীর চোখ আছে, বলছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো জানিয়েছেন, পার্সেলগুলো পাওয়া গেছে- হাঙ্গেরি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, স্পেনের ইউক্রেন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে। চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশও এমন পার্সেল পাওয়ার কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

তবে কে বা কারা এ সমস্ত পার্সেল পাঠিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। নিকোলেঙ্কো ফেইসবুকে এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘আমরা এই বার্তার মানে কি তা খতিয়ে দেখছি।’

তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট সব ইউক্রেন দূতাবাস এবং কনস্যুলেটকে উচ্চ-সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।

এরকম পার্সেল পাঠানোর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার এক সুপরিকল্পিত অভিযান চলছে বলেই মনে করেন কুলেবা।

এর দুইদিন আগেই স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ইউক্রেন দূতাবাসে চিঠিবোমা বিস্ফোরণে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হন।

স্পেনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা এরকম অন্তত পাঁচটি চিঠি বোমা শনাক্ত করেন। বৃহস্পতিবার পঞ্চম চিঠি বোমাটি নিস্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরক ডিভাইসের হুমকি মোকাবিলায় জোরদার করা হয় নিরাপত্তা।

এরপরই শোনা গেল পার্সেল পাঠানোর ঘটনা। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোলেঙ্কো বলেছেন, পার্সেলগুলো একধরনের রঙিন এবং গন্ধযুক্ত তরলে ভেজানো।

শুক্রবার নিকোলেঙ্কো জানান, একই ধরনের রক্তমাখা প্যাকেজ মাদ্রিদের ইউক্রেন দূতাবাসে পাওয়া গেছে এবং স্পেনের পুলিশ দূতাবাসের আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে। ওদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ বলেছে, প্রাণীর টিস্যু সম্বলিত প্যাকেট পাওয়া গেছে প্রাগের ইউক্রেন দূতাবাস এবং বর্নোর কনস্যুলেটে।