যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে একা লড়ার শক্তি ইউরোপের নেই। ইউরোপকে নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া সফরকালে শুক্রবার সিডনির লোয়ি ইনস্টিটিউটে দেওয়া এক বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।

ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিত যে, আমরা আরও শক্তিশালী হবো। আমি নির্মম একটি সত্যি কথা বলতে চাই যে, ইউরোপ যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আমরা সমস্যায় পড়ে যাব।’ খবর এএফপি ,গার্ডিয়ানের।

রাশিয়ার লাগাম টেনে ধরার জন্য চীনের দায়িত্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে সানা মারিন বলেন, ‘চীন এই ব্যাপারে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু আমাদের শুধু এটির ওপর নির্ভর করা উচিত হবে না।’

৩৭ বছর বয়সি ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধে জয়ের জন্য যা কিছু দরকার তার সবকিছু ইউক্রেনকে দিতে হবে। রাশিয়ার অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় অস্ত্র, অর্থ এবং মানবিক সহায়তা কিয়েভকে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’

সানা মারিন বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রে আমরা সেই ক্ষমতা অর্জন করতে পারছি। এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামার সমূহ সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি বলেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি দেখতে পাচ্ছি। বসন্তের (মার্চ-মে) আগেই আলোচনার টেবিলে একটা সমাধান আশা করা হচ্ছে। তিনি যুদ্ধবিরতির একটি ‘স্পষ্ট চিত্র’ দেখতে পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। শুক্রবার রোমে ভূমধ্যসাগরীয় সংলাপে একটি বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেন কাভুসোগলু। সেখানে তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের পশ্চিমা মিত্রদের আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়ার ও যুদ্ধবিরতিতে তাদের রাজি হওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, পালটাপালটি আক্রমণ হচ্ছে। ইউক্রেনের পুনরুদ্ধার মিশনের উত্তরে রাশিয়া লাগামহীন হামলা চালাচ্ছে। এতে গোটা বিশ্ব চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। রাশিয়ান বাহিনী বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে। এতে আমাদের সবার জীবন কঠিন হয়ে পড়ছে। এখন চূড়ান্ত সময় এসেছে যুদ্ধবিরতির।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে না বাইডেনের : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে উলটো শর্ত জুড়ে দেন পুতিন।

এর পরপরই শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বসবেন না বাইডেন।’

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এ মুহূর্তে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো অভিপ্রায় বা পরিকল্পনা আমাদের প্রেসিডেন্টের নেই এবং তার প্রধান কারণ পুতিন।