গণসমাবেশ নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে দলটি এ দাবি করে।

এতে বলা হয়, গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে বিএনপির প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি ও নির্যাতনে দেশে ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয় বৈঠক থেকে।

বৈঠকে আরও বলা হয়, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে এই ধরনের নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে পরিস্থিতি ভীতিকর করে তুলতে চাইছে সরকার। এই ধরনের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি। এছাড়া যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এবং সহ-সভাপতি নুর ইসলাম নয়নকে রাজশাহী থেকে ফেরার পথে আটক করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত কর্তৃক ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুক্তি দাবি করা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।