গাজীপুরে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবীতে এক পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরতদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ টিয়ার সেল ছুঁড়ে ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আন্দোলনরতরা জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকাস্থিত নিউ লাইন পোশাক কারখানার ষ্টাফ পর্যায়ের কর্মীরা গত পাঁচ মাসের এবং শ্রমিকরা তিন মাসের বেতন ভাতা পাওনা রয়েছে। গতকিছুদিন ধরে বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধের একাধিকবার আশ্বাস দিয়েও পরিশোধ করেনি। এতে কারখানার কর্মচারী ও শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর ইন্সপেক্টর (কালিয়াকৈর) নিতাই চন্দ্র সরকার ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানার গেইটে এসে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে বেকয়া পাওনাদি পরিশোধের দাবীতে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা মিছিলসহ কারখানার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর গিয়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে যানবাহন ওই এলাকায় আটকা পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং মহাসড়কের উভয়দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরতদের বুঝিয়ে মহাসড়কের উপর থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আন্দোলনরতরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ৩রাউন্ড টিয়ার সেল ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে প্রায় আধাঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনার পর কিছু শ্রমিক কারখানার গেইটের সামনে অবস্থান করছিল।

ইন্সপেক্টর (কালিয়াকৈর) নিতাই চন্দ্র সরকার আরো জানান, আন্দোলনরতদের দাবী দাওয়া নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।