ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি জানিয়ে মেসি বলেন, ‘ঈশ্বর তাকে সব কিছু দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে কোপা আমেরিকার পর বিশ্বকাপ জিতেলেন। আর কিছু চাওয়ার নেই তার।’ চাওয়ার না থাকলেও জাতীয় দলকে বিদায় বলছেন না লিও। চ্যাম্পিয়নের সম্মান নিয়ে খেলে যেতে চান তিনি।

যদিও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে পিএসজি তারকা বলেছিলেন যে, এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি চান, মেসি আরও একটা বিশ্বকাপ খেলুক। অবসরের সিদ্ধান্ত মেসির ওপর ছেড়ে দিয়ে তিনি জানান, লিও’র জন্য নাম্বার টেন জার্সি রেখে দিতে চান তিনি।

স্কালোনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী বিশ্বকাপের জন্য আমাদের উচিত তার জন্য একটা জায়গা সংরক্ষিত রাখা। এটার মানে হলে, যদি মেসি খেলা চালিয়ে যেতে চায় তাহলে তার জন্য নাম্বার টেন সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে। আমি মনে করি, আর্জেন্টিনার জার্সিতে সে খেলবে কিনা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সে অর্জন করেছে।’

আগেও স্কালোনি বলেছেন, মেসিকে অনুশীলন করাতে পারা তার এবং তার কোচিং স্টাফের জন্য বিশেষ প্রাপ্তি। আবারও একই কথা জানিয়ে মেসির ২০০৬ বিশ্বকাপের সতীর্থ স্কালোনি বলেন, ‘সতীর্থদের যেভাবে সে উৎসাহ দিতে পারে, তার মতো সবকিছু সতীর্থদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারার ক্ষমতা আমি আগে কারো মধ্যে দেখিনি। এটা অসাধারণ।’

কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দলে ছিলেন ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস। যদিও সাবেক এই বার্সা ডিফেন্ডার এক ম্যাচের বেশি মাঠে নামেননি। তবে দলের খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে তাকে ২৬ জনের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। মেসিও যদি ওই ভূমিকায় ২০২৬ বিশ্বকাপের দলে থাকতে চান তার এই বিশ্বজয়ী তরুণ সতীর্থরা হয়তো আপত্তি করবেন না। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় ও ভক্তদের কাছে মেসি নামটা ওমনই।