সিরাজগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুক জব্দ ও গুলিবর্ষণকারী যুবক আরিফকে আটক করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- বাঐতারা গ্রামের শফিকুল, শাহাদৎ, ইমদাদুল, ফরিদুল, রাব্বী, রাফি, আব্দুল বাসেত, মিলন, তোতা মিয়া, জাহিদ, আব্দুল ওহাব, নাইস, আব্দুল বারেক, শাহীন, ওমর, শফিকুল হযরত ও সেলিম। এদেরকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক আরিফ হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার সকালে একটি জমির কাগজ উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বাঐতারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে দলিল লেখক আলম হোসেনকে একই গ্রামের হেকমতের ছেলে রুবেলের মারপিট করে। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল থেকেই দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটেকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে রুবেল গ্রুপের পক্ষে আরিফ তার লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ১৯জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নান্নু খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গুলিবর্ষণকারী যুবককে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। লাইসেন্সকৃত একনালা বন্দুক থেকে গুলিবর্ষণ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে।

 

মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি