খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ফেসবুকে প্রকাশ করা দুটি ভিডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারি সুমনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও সালাম মুর্শেদীর মেয়ে সেরিনা সালাম ঐশী। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সেরিনা সালাম ঐশী সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৩ ও ২৫ জানুয়ারি আমাদের বাড়ি নিয়ে লাইভ করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে সেই লাইভের ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন কোনো বিষয় নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত লাইভ বা ভিডিও প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন আদালত।
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করে জানিয়েছে দুদক।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদালতকে জানান, অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদকের কমিটি অনুসন্ধান শুরু করেছে।
দুদক ছাড়াও রাজউকের প্রতিবেদনও হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালাম মুর্শেদির গুলশানের বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই।
গত ১৬ জানুয়ারি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি ও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
