বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভর্মা বলেছেন, কয়লা সংকট একটা অপারেশনাল ইস্যু এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি এই সংকট কেটে যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুটি ইউনিট থেকে রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি চালু হবে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে ইন্দনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রামপাল কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলার রিলিজ করতে কিছুটা সময় লাগার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে সে সমস্যার সমাধান হওয়ায় নতুন করে কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ সেখান থেকে রওনা দিয়েছে। আগামী এক সমপ্তাহের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে। বাংলাদেশে-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইদ একরাম উল্লাহ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি এদিন আরও বলেন, ‘এখন থেকে নিয়মিত ভাবেই কয়লা আসবে। এর ফলে জুন মাস থেকে আবার কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এছাড়া দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জোরেসোরে কাজ চলছে। সবমিলিয়ে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আরও কোনা সমস্যা হবেনা’।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা আমদানি করতে ঠিকমত ডলার প্রেমেন্ট করতে পারলে আর কোন সমস্য হবেনা। একের পর এক কয়লাবাহী জাহাজ আসলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সবকিছু হয়ে যাবে।

গত ১৪ জানুয়ারি ডলার সংকটের জেরে কয়লা আমদানি না হওয়ায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডলার সংকটের কারণে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ঋণপত্র খুলতে না পারায় কয়লার আমদানি বন্ধ আছে। এর জেরে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জানায় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি সকাল থেকে কয়লা না থাকায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবু