ভ্যালেন্টাইন্স ডের রেশ ধরে অবমুক্ত হল প্রফেসর রীনাত ফওজিয়ার সুরে গান ‘তোমাকে এতো ভাল লাগে।’ উত্তর আর দক্ষিণ ভারতীয় সুরের মিশ্রণে তৈরী গানটি গেয়েছেন সাফিকা নাসরিন মিমি আর তানিম হায়াত খান রাজিত। মিমি শান্তি নিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথের গানের ওপর পড়াশোনা করে আসলেও এখন সবরকম গানই গাইছেন। আর রাজিত মূলত সরোদ শিল্পী হলেও সরোদ বাজানোর পাশাপাশি গান করছেন৷ গানের সুর করছেন। গানটি সম্পর্কে প্রফেসর রীনাত ফওজিয়া বলেন, “দক্ষিণ ভারতীয় একটা রাগের সাথে উত্তর ভারতীয় একটা রাগের মেলবন্ধন বা ফিউশন করবো ভাবছিলাম।সেভাবেই সুর করে ফেললাম।গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন সজীব দাস।তাকে বুঝিয়ে বললাম, দক্ষিণের কিছু বাদ্যযন্ত্র আর আধুনিক কিছু কম্পোজিশন দিয়ে মিউজিকটা করতে হবে।মেধাবী সজীব সহজেই বিষয়টা বুঝে নিলো।আর সেভাবেই মিউজিকটা কর। পুরো গানটাই এক্সপেরিমেন্টধর্মী।আমার মনে হয় না বাংলাদেশে এ ধরণের এক্সপেরিমেন্ট তেমন একটা হয়েছে।গান গাওয়ার জন্য রাজিত আর মিমিকে ঠিক করে রেখেছিলাম আগে থেকেই। নিরীক্ষাধর্মী এই গান গাইতে যেটুকু শ্রম দিতে হবে ওরা তা দিতে পারবে এই ভরসা ছিল।এভাবে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় তৈরি হলো “তোমাকে এত ভালো লাগে…” গানটি।গানটি কেমন হলো শ্রোতারাই বলবেন, শ্রোতারাই সবচেয়ে বড় বিচারক।”

গানটি সম্পর্কে মিমি বলেন, “বহুদিন পরে সরাসরি সুরকারের সামনে বসে গানটা তুলেছিলাম, তাই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে I আমার জনরার একটু বাইরে এই গানটা, কিন্তু দারুন লেগেছে গাইতে I গানটা হারমোনিয়ামে তুলবার সময় সেই শান্তি নিকেতনের কাটানো সময় গুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলোI রীনাত আপার কথা মতন গানটার মিউজিক ডিরেক্টর সজীব দাস দক্ষিণী ধাঁচের করাতে আমার মনে হলো ভারতনাট্যমের কিছু নাচের মুদ্রা মিউজিক ভিডিওতে থাকলে দারুন হবে, সেভাবেই ডিরেকশন দিয়ে দিয়েছি আমি শুটিং এর সময়ে।”

আর এদিকে বড়বোন রীনাত ফৌজিয়ার সুরে রাজিত আবার গান গাইলেন ৬ বছর পরে I রাজিতও ভিন্নধারার এই গানটি গেয়ে দারুণ ভাল লাগা কাজ করেছে জানালেন।

দারুণ রোমান্টিক এই গানটি লিখেছেন মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভুইঁয়া। গানটি THK মিউজিক প্রোডাকশন থেকে অবমুক্ত হয়েছে।

গানটিতে মডেল ছিলেন মারিয়া অনন্যা আর প্লাবন। ভারতনাট্যমের দিয়ে সাজানো নাচের মুদ্রা গুলোর কোরিওগ্রাফি করেছেন মারিয়া অনন্যা। গানটির ডিওপি ও ভিডিও এডিটিং খোকন কর্মকার।