জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট অডিও-ভিডিও কল ও মেসেজিং অ্যাপ ইমো সম্প্রতি ‘ইউর প্রাইভেসি, ইউর কন্ট্রোল’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে চালু করা হয়েছে প্রাইভেসি সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন ফিচার। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে তানজিন তিশা’র মতো আরও অনেক সেলিব্রেটি কীভাবে এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকা যাবে এবং একটি নিরাপদ অনলাইন স্পেস তৈরি করা যাবে সে ব্যাপারে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে হ্যাকিং, ব্ল্যাকমেইলিং ও সাইবারবুলিংয়ের মতো অপরাধগুলো অনলাইনে নিয়মিত সংগঠিত হচ্ছে। আরও নির্দিষ্ট করে বলা যায়, নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন হয়রানি বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, নিরাপদ অনলাইন স্পেসের অভাবে দেশের শতকরা ৬৪ ভাগ নারী অনলাইনে কোনো না কোনোভাবে হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। প্রাইভেসির ক্ষেত্রেও অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে নানান রকম সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা; তবে, এখন পর্যন্ত এসব সমস্যার কার্যকর সমাধান করা যায়নি। যোগাযোগের বিভিন্ন স্তরে সম্ভাব্য সমস্যাগুলোর সমাধানে এবং অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইমো নিয়ে এসেছে ‘ইউর প্রাইভেসি, ইউর কন্ট্রোল’ ক্যাম্পেইন। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ‘টাইম মেশিন’, ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’ ও ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ এই তিনটি উন্নত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ফিচার নিয়ে এসেছে ইমো। উদ্ভাবনী এই ফিচারগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের কানেকশনের সাথে যেকোনো স্তরে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বা প্রাইভেসি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
টাইম মেশিন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় তাদের নির্দিষ্ট চ্যাট হিস্ট্রি ডিলিট করতে পারবেন। ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস ফিচার সক্রিয় করলে অপরপাশে কল রিসিভ করা ব্যক্তি স্ক্রিনশট নিতে পারবে না। ইমো ব্যবহারকারীরা এসব ফিচার ব্যবহার করে কারও সাথে যোগাযোগ স্থাপনের সময় অস্বস্তিকর ও বিপদজনক পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ফিচারটি আপনাকে যোগাযোগ স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অপরিচিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষ থেকে দূরে রাখবে। এই ফিচারগুলো নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ইমো’র আরঅ্যান্ডডি (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ও প্রোডাক্ট টিমের বেশ কয়েক মাসের প্রচেষ্টার ফলাফল।
বৈশ্বিকভাবে নেতৃস্থানীয় ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইমো সবসময় ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে। বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত ফিচার ও পরিষেবা নিশ্চিত করাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। এর ধারাবাহিকতায় নারীদের জন্য ‘ইউর প্রাইভেসি, ইউর কন্ট্রোল’ ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি-সংক্রান্ত উদ্ভাবনী ফিচার নিয়ে এলো ইমো। এই ফিচারগুলোর সাহায্যে সাইবারস্পেসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের অনলাইন অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে।
———