ইসরাইলে নেতানিয়াহুর বিরোধীরা শুক্রবার সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্রনীতিরই ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে।

বিরোধীরা বলছেন, নেতানিয়াহু অভ্যন্তরীণ বিচার বিভাগীয় সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করে দেশের বৈদেশিক সম্পর্ককে উপেক্ষা করেছেন। আর সেই কারণে সংস্কার প্রকল্পটি দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করায়, তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছে। এটাকে তারা গণতন্ত্রের হুমকি হিসেবে দেখছেন। খবর এএফপি’র।

বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ অপর প্রধান বিরোধীদের সাথে একমত হয়ে টুইটারে লিখেছেন, এটি ইসরাইল সরকারের বিপজ্জনক পররাষ্ট্রনীতির সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। তিন বছর আগে নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্রনীতির জয়জয়কার ছিল। বিশেষত ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে, ইসরাইল ও আরব বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন যুগ সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থায় আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনে পরবর্তী সময়ে প্রথম বাহরাইন এবং পরে মরক্কোর সাথে অনুরূপ চুক্তি হয়েছিল।

সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নেতানিয়াহু, বিশ্বের প্রধান সুন্নি মুসলিম শক্তি সৌদি আরবকে ইসরাইলের শত্রু ইরানের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক জোটের অংশ হিসেবে চুক্তিতে আনার বিষয়ে তার চূড়ান্ত লক্ষ্যকে কখনোই গোপন করেননি। কিন্তু তেমনটি হয়নি। বরং তার পরিবর্তে রিয়াদ ও তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান আকস্মিকভাবে শুক্রবার বলেছে যে তারা চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক পুনরুদ্ধার ও কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে এএফপি যোগাযোগ করলে, মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েলের অনেক বিরোধী ব্যক্তিত্ব রিয়াদ-তেহরান সমঝোতাকে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন।

দক্ষিণপন্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত ইরান-সৌদি চুক্তিকে ইরানের জন্য ‘একটি রাজনৈতিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করে এটিকে ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক জোট গঠন প্রচেষ্টার ওপর মারাত্মক একটি আঘাত এবং নেতানিয়াহু সরকারের বিস্ময়কর ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন।