সিলেটের উইকেটকে ‘পিওর স্পোর্টিং’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার মতে- উইকেটে ব্যাটার, পেসার ও স্পিনার সবার জন্য কিছু না কিছু আছে। টস জিতে বোলিং নিয়ে আয়ারল্যান্ড শুরুতে ওই সুবিধা আদায় করে। ৮১ রানে তুলে নেয় বাংলাদেশের তিন উইকেট। সেখান থেকে সাকিব-হৃদয় ও মুশফিক-হৃদয়ের জুটিতে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

ইনিংস শুরু করতে নেমে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩ রান করে ফিরে যান। দশম ওভারে দলের ফিফটির আগে সাজঘরে ফেরেন সাবলীল খেলতে থাকা লিটন দাস। তিনি ৩১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ সিরিজ কাটানো নাজমুল শান্ত সাবধানী শুরু করেও ৩৪ বলে আউট হন ২৫ রান করে।

এরপর চারে নামা ইন ফর্ম ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর জায়গায় ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়েন। তাদের জুটি থেকে দল পায় ১২৫ রান। টানা তিন ওয়ানডে ফিফটি করা সাকিব এদিন সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরি মিস করা বাঁ-হাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৮৯ বলে ৯৩ রানের ইনিংস। নয়টি চারের শট খেলেন তিনি। এর মধ্যে ৩৫তম ওভারে তিনি হাঁকান পাঁচটি বাউন্ডারি।

এরপর ক্রিকেটে অভিভাবক মানা মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন ওয়ানডে অভিষেক হওয়া হৃদয়। তারা ঝড়ো ৮০ রান যোগ করেন। স্লগে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব পাওয়া মুশফিক ফিরে যাওয়ার আগে তিনটি করে চার ও ছক্কার শটে ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তিনি ফেরার পরই বোল্ড হয়ে যান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী হৃদয়। তার ব্যাট থেকে ৮৫ বলে আটটি চার ও দুই ছক্কায় আসে ৯২ রান। সাকিবের মতো তিনিও সেঞ্চুরি মিস করেন।

শেষে ইয়াসির রাব্বি ১৭ ও নাসুম আহমেদ ১০ রান করে দলকে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ এনে দেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৩ ছিল বাংলাদেশের ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান। বাংলাদেশের বড় রান করার ম্যাচে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন গ্রাহাম হিউম। এছাড়া মার্ক এডায়ার, আন্দ্রে ম্যাকব্রিনি ও কার্টুস ক্যাম্পার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।