জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বসানোর প্রস্তাব করেছে । কিন্তু ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিডেট বা মেট্রোরেল কোম্পানি এই ভ্যাট দিতে চায় না। তাদের যুক্তি, মেট্রোরেলে অভিজাত শ্রেণি ভ্রমণ করে না, সাধারণ মানুষ ভ্রমণ করে।

গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (মেট্রোরেল কোম্পানি) চিঠি দেন। ওই চিঠিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কোচ হিসেবে মেট্রোরেল চলাচলকারী যাত্রীদের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়।

ঢাকা মেট্রোরেল কোম্পানি ওই চিঠির জবাব দেয় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে।

জবাবে ঢাকা মেট্রোরেল কোম্পানি বলে, মেট্রোরেলে সব শ্রেণির মানুষ একই ভাড়া দিয়ে ওঠেন। তাই এ ধরনের পরিবহনে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। মেট্রোরেল কোম্পানির এই জবাব পাওয়ার পর সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনো নির্দেশনা মেলেনি।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। ঢাকার মেট্রোরেল পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং এটি গণপরিবহন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোরেল কোম্পানির পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভ্যাট আইন অনুযায়ী রেলের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কোচের বা এসি টিকিটের ওপর ভ্যাট আরোপ আছে। এ ক্ষেত্রে দর্শনটি হলো, একই ট্রেনে নন-এসি টিকিটও আছে। টিকিটেও শ্রেণি বিভেদ আছে। সাধারণত অভিজাত শ্রেণির যাত্রীরা এসি টিকিট কাটেন। তাঁদের ক্ষেত্রে ভ্যাট আরোপ ঠিক আছে।

কিন্তু মেট্রোরেলে সবার জন্য একই মূল্যের একই ধরনের টিকিট—এ কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য, নিম্ন আয়, নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষসহ সব শ্রেণির মানুষ মেট্রোরেলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত যাবেন। তাই ভ্যাট আরোপ করা ঠিক হবে না। ’

ভ্যাট আরোপ করলে মেট্রোরেলের ভাড়া আরও বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন ঢাকা মেট্রোরেল কোম্পানির পরিচালক।