সকাল সাড়ে ৭টা। বাইরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি ইমাদ পরিবহনের একটি বাস নিচের সার্ভিস লেনের ব্রিজের সাথে মিশে রয়েছে। বাসটির সামনের অংশ পুরোটাই দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ভেতর থেকে শুধু চিৎকারের আওয়াজ আসছিল। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের দূর্ঘটনা এমন বর্ণনা দিচ্ছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সেলিম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা।

তিনি বলেন, আমরা দ্রুত বাসটির ভেতরে ঢুকে ১৪ জনকে পাই যারা মারা গেছেন বলে মনে হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও দুজন নারী ছিলেন। আমিসহ স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। রক্তে পুরো বাস একাকার হয়ে গেছিল।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বেলাল হোসেন বলেন, আমি শব্দ শুনে দৌড়ে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এর মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এসময় দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারীসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ৩০ জন। তবে এখনো নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও আহত যাত্রীদের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।