নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চাঞ্চল্যকর এক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রতনকে ১৫ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব- ১৪ ময়মনসিংহ।

গ্রেপ্তার মো. রতন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর পাড়া দেউলি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর পাড়া দেউলি গ্রামের মো. তোয়াজ্জেমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মো. রতন মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্রামে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের রতন মিয়া, ফারুক মিয়া, সাহেদ আলী, সুলতান মিয়া,আবদুল কাদির মিলে তোয়াজ্জেমের ওপর হামলা চালায় এবং দুই হাত ধরে রাখে। এ সময় মো. বাবুল মিয়া গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে তোয়াজ্জেমের গলায় আঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তোয়াজ্জেম মারা যান।

ঘটনার ১১ দিন পর তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় বিচার শেষে বিজ্ঞ দায়রা আদালত ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল আসামি মো. বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও মামলার বাকি আসামিদেরকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ঘটনার পর থেকে রতন মিয়া এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব- ১৪ ময়মনসিংহ অভিযান চালিয়ে ১৫ বছর পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রতন মিয়াকে শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব- ১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার রতন মিয়াকে কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। র‌্যাব তাকে পুলিশের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছে।