ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ও তার বাবাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

পরে এ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত মো. কুতুবউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম প্রধান অভিযুক্ত ওই যুবকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি শহিদুল জানান, গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে সোমবার (২০ মার্চ) মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রধান অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে, তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরাতে। ওই কিশোর ও তার বাবা পৃথক দুটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরের মা প্রবাসে রয়েছেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠা শিশু তার সৎ বোন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ওই কিশোরের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ বোনকে যৌন নির্যাতন করে আসছে বাবা-ছেলে মিলে। আর এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে কয়েকজন যুবক ও যুবতী মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করে। পরে, নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী তোলা হয়।

এব্যাপারে মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, অতিশ্রীঘ্রই এব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও শিক্ষকরা জড়িত আছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমি বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) সাথে কথা বলেছি।