গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হাসান বেপারীর (২৩) বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৭ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের সৈর্দ্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রাবণী আক্তার (১৯) সৈর্দ্দী গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে।

এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি হেনা বেগম (৪৮) ও বড় ভাসুরের স্ত্রী (জা) মিতা আক্তারকে (২০) আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী হাসান বেপারী পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের সৈর্দ্দী গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে শ্রাবণী আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তারা বেপারীর ছেলে হাসান বেপারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত এক বছর পূর্বে ওই প্রেমের সম্পর্ক এক পর্যায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী হাসানের বেকারত্ব ও নেশা করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রী শ্রাবণীর সঙ্গে কলহ চলে আসছিল। এর জেরে সোমবার ভোর ৫টার দিকে স্বামী হাসান বেপারী স্ত্রী শ্রাবণীকে মারধর করে। পরে স্ত্রী শ্রাবণীর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে টেকেরহাট প্রাইভেট হাসপাতালে আনার পথে মারা যায়।

মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন জানান, মরদেহের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি ও বড় ভাসুরের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।