গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং নতুন পদ সৃজন সহ বিভিন্ন দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাবী মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়। বুধবার দুপুরে গাজীপুরস্থ বারি’র প্রশাসনিক ভবনের সামনে বারি বিজ্ঞানী সমিতির (বারিসা) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে বারি বিজ্ঞানী সমিতির (বারিসা) সভাপতি ড. সুজিৎ কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন সহ কেন্দ্রীয় সদস্য আক্তার উজ জামান ও সোহেলা আক্তার বক্তব্য রাখেন ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত ৯ম গ্রেডভুক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকারী বিজ্ঞানীগণ বারি কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৩ টি ধাপে উচ্চতর গ্রেডের পদে (উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা- ৬ষ্ঠ গ্রেড, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-৪র্থ গ্রেড ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-৩য় গ্রেড) পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। পূর্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যারা যোগদান করতেন, তারা ৪ বছর পর ৭ম গ্রেডে সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত হতেন। কিন্তু বর্তমানে সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালের পূর্বে যোগদানকৃত বিজ্ঞানীবৃন্দ যারা পদোন্নতিপ্রাপ্ত হননি তারা ১০ বছর চাকরিকাল পূরণ সাপেক্ষে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্ত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ (দশ) বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে কিন্তু পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন নি তারা বারি কর্তৃপক্ষের নিকট ৬ষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির আবেদন করেন।

তারা বলেন, বিজ্ঞানীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং বারি বিজ্ঞানী সমিতির অনুরোধে বারি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞানীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ (দশ) বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হবেন বলে মত দেন এবং এ বিষয়ে মহাপরিচালকের নিকট সুপারিশ সহ রিপোর্ট প্রদান করে। কিন্তু অদ্যবধি বিজ্ঞানীবৃন্দকে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রদান করা হয়নি। এর পরিবর্তে বারি কর্তৃপক্ষ কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে বিজ্ঞানীদেরকে ৮ম গ্রেড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিজ্ঞানীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপ্রেক্ষিতে বারি’র বিজ্ঞানীরা ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রদানের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। বারিসার এ দাবীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা।

বক্তারা আরো বলেন, আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাবী মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।

এ কর্মসূচিতে বারি’র প্রায় সকল বিজ্ঞানীরা অংশ নেন।