সরকারের উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশের মিডিয়াকে আজকে ধ্বংস করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। প্রথম আলোর রিপোর্টারকে গ্রেফতার করেছেন এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কি বার্তা দিতে চাচ্ছেন? যে আপনারা লেখালেখি করবেন না। সামনে আবার ক্ষমতায় যাবেন। এই কৌশল আর বিএনপির কাছে টিকবে না। বিএনপি’র জাতীয়তাবাদী শক্তি ও তারেক রহমানের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বিরের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপি’র পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আমরা মুক্তি কার কাছে চাইবো? মুক্তি আর চাইতে চাই না, মুক্তির দাবি আর করতে চাই না। এই ভোট চোর, করব থেকে উঠে আসা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বড় বড় কথা বলেন, যারা টাকা লুট করে কানাডায় বেগম পাড়া করেন, যারা টাকা লুট করে দুবাই, ব্যাংককে বাড়ি করে তাদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, মুছাব্বিরের মুক্তি, রিজভীর মুক্তি আমি দাবি করতে চাই না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছেন। সাথে সাথে যে সকল সাংবাদিক দেশের স্বার্থে লেখালেখি করছেন তখন আপনারা বাধা দিচ্ছেন তাদের মুখও বন্ধ করে দেব। শামসুজ্জামান সাময়িক কারাগারে গেছেন, সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাময়িক মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, জীবন দেবো, জেলে যাব, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। পুলিশের জোর দেখাচ্ছেন, কতিপয় পুলিশ দ্বারা, সব পুলিশ নয়। আমাদেরকে আটকে রাখবেন আর পারবেন না। ১৭ জন প্রাণ দিয়েছে, ১৭ হাজার প্রাণ দিব তবুও আপনার অধীনে এদেশে আর কোন নির্বাচন হবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) যতই কৌশল করেন নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে যতই চিঠি দেন। বিশ্বাস করেছিলাম ২০১৮ সালে, গণভবনে আন্তরিকতার সাথে আমার দল গিয়েছিল সেদিন আপনারা আমাদের সাথে মুনাফিকি করেছেন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছেন। ১৪ সালে ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন করে ক্ষমতা চালিয়েছেন, সেদিন আর নেই। এখন নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান তারেক রহমানের কৌশলের কাছে ইনশাআল্লাহ আপনারা পরাজিত হবেন।

ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানউল হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্ব এ সময় ঢাকা উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হক , স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।