গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (টেবিল ঘড়ি) ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই নোটিশের জবাব শুক্রবার বিকেলে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বৃহষ্পতিবার রাতে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ উপলক্ষে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনি জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলে নিজের ছবির সঙ্গে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করেছেন, যা সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারো নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার কিংবা ছাপাইতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী কোন রাজনৈতিক দলের মনোনিত হলে সেক্ষেত্রে তিনি দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেট ছাপাইতে পারবেন। উক্ত বিধিমালা লঙ্ঘন অপরাধের সামিল। এ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনধিক ৬(ছয়) মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন এবং বিধি ৩২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিলের বিধান উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার দুপুরের পর মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে দেওয়া ওই নোটিশের জবাব নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হয়ে জমা দেন তার ছেলে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তিনি ওই নোটিশের জবাব দেন। এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।