বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দেশটির ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান ম্যারি ট্রিভেলিয়ান এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে গত ১৪ মার্চ বার্মিংহামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান নিউ হোপ গ্লোবাল চেয়ারম্যান বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন একটি চিঠি লিখেছিলেন। প্রায় দু’মাস পর (১২ মে) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ান ওই চিঠির জবাব দেন।

ফয়েজ উদ্দীনকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে গত ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবর আপনার পত্রের জন্য ধন্যবাদ।’

‘বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি আপনার চিঠির জবাব দিচ্ছি। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে ব্রিটেন বরাবরের মতো উদ্বিগ্ন। দেশটিতে আটক ব্যক্তিদের সাথে আচরণসহ মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগগুলো আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উত্থাপন করে চলেছি। পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় ফর্মে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনায় মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরব। আমরা আশা করব, বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক ব্যক্তিদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের যে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার তা মেনে চলবে। বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতা বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনায় যুক্ত রয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘জোরালোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবো খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আশ্বাস পেতে। উপরোল্লিখিত উদ্বেগগুলোর নিরসনে ব্রিটেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে আগামীতেও ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। সেই সাথে একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সমর্থন যুগিয়ে যাবে।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি