ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছিল, তখন কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের চাষিরা ঝড়ের কবল থেকে লবণ রক্ষার চেষ্টা করছিল। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে তিন লবণচাষি নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরো কয়েকজন।

রোববার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা স্থানীয়রা জানতে পারে।

নিহতরা হলেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও পানিরছড়া বারঘরপাড়ার মরহুম মতিনের ছেলে মো: আনছার।

হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টায় পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করে ঠান্ডায় ছয়-সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিদওয়ানকে (৩৫) কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

অন্যদিকে লবণ মাঠে পলিথিন উঠাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মুহাম্মদ নেছার নামের আরেকজনের। তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এছাড়া রাত সাড়ে ১১টায় লবণ মাঠে খুঁজে আনছারের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, হোয়ানক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ১০-১৫ জন লবণচাষি এখনো ঘরে ফিরেনি।

মহেশখালী হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হক জানান, মোখার প্রভাবে ঠান্ডাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, ‘তিন শ্রমিকের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি।’