নির্বাচন নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকবেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনে বিতর্ক আছে। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কিছু থাকবেই, তবে তা কমানোর চেষ্টা করা উচিত। নির্বাচনে সঙ্ঘাত আগের তুলনায় কমেছে। তারপরও আমাদের বিতর্ক আছে। তবে অর্জনগুলো শিকার করতে হবে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, দলীয় মনোনয়ন অনেকেই চান। একজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কখনো কখনো যিনি সংসদ সদস্য আছেন, তিনি আবার মনোনয়ন পেতে পারেন, নাও পেতে পারেন এটি দলের সিদ্ধান্ত। বিশ্বের যেকোনো নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা আছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত বা বাংলাদেশে হোক সবজায়গায়ই সমস্যা আছে। কোথাও একটু বেশি, কোথাও একটু কম। আমাদের এখানে আগে নির্বাচনে অনেক ধরনের নাশকতা হতো, মারধরের ঘটনা ঘটত। কিন্তু এখন একটা সহনীয় জায়গায় থাকবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে তারা কথা বলেছেন। জাতিসঙ্ঘ ও প্রভাবশালী দেশগুলো চেষ্টা করছে যাতে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তায় কিছুটা তারতম্য হতে পারে, সে বিষয়ে তারা সচেতন আছেন। এ বিষয়টা তারা গুরুত্ব দেন, সেজন্যই তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিজিট করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইনগত সহায়তা ও তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা করছেন তারা।

মন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে কোনো বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমাদের এখানে মানবাধিকারের অবস্থা, আমাদের সেফটি সিকিউরিটি কেমন সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগে এক সময় ঢাকার রাস্তায় সন্ধ্যার পর কোনো মেয়ে বের হতো পারতেন না। এখনকার অবস্থা ভিন্ন, এ পরিবর্তনের কারণ জানতে চেয়েছেন তারা। আমি বলেছি, এটা শুধু একটি নির্দেশনায় হয়নি। সেসব অজর্নের জন্য আমাদের কাজ করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর অনেকগুলো টেলিভিশন চ্যানেল আসায় আমাদের অনেক ছেলে-মেয়েরা সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।

এছাড়া ডেঙ্গু প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে সেটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। জানুয়ারি মাসে আমরা প্রথম মিটিং করেছি। সেখানে ডেঙ্গু মোকাবিলায় যেসব প্রস্তুতি দরকার তা নেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ৫০ লাখ লোকের দেশ, সেখানে আমাদের চেয়ে আক্রান্ত বেশি, মালয়েশিয়া আড়াই লাখ আক্রান্ত ছিল, ফিলিপাইনে তিন লাখের কাছাকাছি ছিল। গতবারের পরিসংখ্যানটা আমরা কাছে এখন নেই। বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো।