বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো কার্যক্রমে নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খুবই মানবিক । মানবিকতার জন্য আমরা বিখ্যাত। জাতিসংঘে আমরা এক নম্বর শান্তিরক্ষী দেশ। এটা অর্জনের জন্য যেসব গুণাবলি অর্জনের প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষের প্রতি দরদ এবং সহনশীলতা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো কার্যক্রমে নেই। এটা আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি ।

সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়েছে, তবে আমাদের চলমান অপারেশনকে থামাতে পারেনি।

তিনি বলেন, এ অঞ্চল খুব দুরূহ। সন্ত্রাসীদের যেখানে গোপন ঘাঁটি বা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাচ্ছি সেগুলো আমরা দখল করছি। তাদের মূল ঘাঁটি দখল করেছি। তাদের মূল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও দখল করেছি। তারা এখন এই এলাকায় নেই। তবে জনগণের সঙ্গে মিশে কিছু কিছু আছে তারা। তারা বাংলাদেশের জনগণ, তারা দেশের শত্রু হোক তা আমরা কখনো চাই না। বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের ভেতরেই থাকবে, আর্থসামাজিক উন্নয়নে তারা ভূমিকা রাখব। এটাই আমাদের কাম্য।

রবিবার (৪ জুন) বান্দরবান রিজিয়ন পরিদর্শন ও কুশলাদি বিনিময় শেষে দুপুরে বান্দরবান সেনানিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় সেনাপ্রধান এসব বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদুর রহমান, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দীন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন ।

সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান বলেন, দেশের ক্ষতি করছে, দেশের জনগণের ক্ষতি করছে সেটাকে রোধ করতে গিয়ে যদি আমাদের একটু শক্ত অবস্থান যেতে হলে আমরা অবশ্যই যাব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান চাই। মরণকামড় কেউ দিলে আমরা তা প্রতিহত করব।

তিনি আরো বলেন, অভিযানে যেসব এলাকা ঝঞ্ঝাটমুক্ত করার কথা ছিল, আমরা কিন্তু সেটা করে ফেলেছি। বিশেষ অভিযান আমরা প্রায় শেষ করে এনেছি । আমরা আশা করছি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে শেষ করতে পারব।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।