সাফের সেমিফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশ দলকে ৫০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন বাফুফে সভাপতি। রোববার দুপুরে বাফুফে ভবনে ৩৪ সদস্যের প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকার চেক দিয়েছেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে ৩ ফুটবলারকে আলাদাভাবে বিশেষ বোনাস দিয়েছেন সালাউদ্দিন।

সাফ চলাকালীন ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতে আরো ৫০ লাখ টাকা বোনাসের কথা বলেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে শর্ত ছিল, দল যদি ফাইনালে যেতে পারে। তবে কুয়েতের কাছে ১-০ গোলের হারে সেই ঘোষণা বাস্তব রূপ পেলো না।

আজ বাফুফে ভবনে তিনজন খেলোয়াড়কে আলাদা করে নিজের ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন সালাউদ্দিন। সাফের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হওয়ায় আনিসুর রহমান জিকোকে ১ লাখ, তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনকে ১ লাখ টাকা নগদ দিয়েছেন। এছাড়া সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগমুহূর্তে সতীর্থদের জিততে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া রাইটব্যক বিশ্বনাথ ঘোষের দলের প্রতি নিবেদন দেখে খুশি হয়ে সালাউদ্দিন ৫ লাখ টাকা নগদ বিশ্বনাথের হাতে তুলে দেন।

বিশ্বনাথের মাঠে খেলার মুগ্ধতার পাশাপাশি টিম স্পিরিটের প্রশংসা করেছেন সালাউদ্দিন, ‘বিশ্বনাথ নিজেই ঘোষণা দিয়েছিল দল সেমিফাইনালে জিতলে সে পাঁচ লাখ টাকা দিবে। এটা স্পিরিটের অংশ। এ রকম খেলোয়াড়ই আমার দরকার। তাকেও আমার পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ পুরস্কার।’

বাফুফে সভাপতি আর্থিক বোনাস প্রদান সম্পর্কে বলেন, ‌’আমার তেমন সামর্থ্য নেই। তাই খুব সামান্য অর্থ দিচ্ছি। তোমরা অবশ্যই এর চেয়ে বেশি ডিজার্ভ করো। আমার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই বেশি দিতাম।’

কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলারদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে তোমরা দারুণ খেলেছ। আমি খুবই খুশি তোমাদের ওপর। আমরা মানসম্পন্ন ফুটবল যে খেলতে পারি, সেটা দেখাতে পেরেছি। দুটি ম্যাচ আমরা হেরেছি। তবে ভালো খেলেছি। দল যাওয়ার আগে অনেকে অনেক কথা বলেছিল। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, যখন আমার বাসায় কোচসহ জামাল-তপুরা এসেছিল। আমি তাদের বলেছিলাম, ম্যাচের আগেই হেরো না। ওরা আমাকে কথা দিয়েছে। এবং সে রকমই খেলেছে।’