চলমান শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সারাদেশের সব পোশাক কারখানায় নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিজিএমইএর মহাসচিব ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাগুলোর অনুলিপি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

সদস্যদের উদ্দেশে এতে বলা হয়, আপনি অবগত আছেন যে, কোভিড অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে অর্ডার কমে যাওয়া এবং সাম্প্রতিককালে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ইত্যাদি জটিল পরিস্থিতির কারণে ৯ নভেম্বর বিজিএমইএতে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়-

১. এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত সব পোশাক শিল্প কারখানাতে সব ধরনের নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকবে। প্রতিটি কারখানার গেটে ‘নিয়োগ বন্ধ’ কথাটি লিখে ব্যানার টাঙিয়ে দিতে হবে।

২. যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিকটস্থ থানায় প্রমাণস্বরূপ ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ মামলা করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করা যাবে। মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে এর একটি কপি মেজর (অব.) মো. সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব (মোবাইল ০১৭১১-৪২৩৯৯৫), বিজিএমইএর কাছে পাঠাতে হবে।

৩. যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ করা থেকে বিরত থাকবে বা কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, সেসব কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৩(১) এর বিধান মোতাবেক কারখানা বন্ধ করে দেবেন।

৪. যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ (যদি থাকে) অতিসত্বর মো. জাকারিয়া, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট (মোবাইল ০১৭২০-০১০১০১), বিজিএমইএর কাছে পাঠাতে হবে।

উপরোল্লিখিত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি জনাব এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি ও পরিচালকরা।