ইসরাইলি বাহিনী শনিবার গাজার আল-শিফা হাসপাতালের ডাক্তার, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের মেডিক্যাল কম্পাউন্ড খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ওই হাসপাতালের ডাক্তার ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, কয়েকজনকে বন্দুকের মাধ্যমে চলে যেতে বাধ্য করেছে।

হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনীর এমন বর্বর হমলা ও নির্দেশ নিয়ে আল-জাজিরার সাথে কথা বলেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের পাবলিক পলিসির সহকারী অধ্যাপক তামের কারমাউত।

আল-শিফা হাসপাতাল এবং গাজা জুড়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আল-জাজিরাতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

কারমাউত বলেন, ‘গাজায় যা খুশি তা করার জন্য ইসরায়েলের অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে।’

তিনি বলেন, বড় শক্তি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশ্চাত্য মিত্রদের কাছ থেকে এর সবুজ সংকেতের কারণে তারা এটার সাহস পাচ্ছে।

তিনি আরো যোগ করেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ তাদের মদদ দিচ্ছে পাশ্চাত্য।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।

গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।