টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে করা আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদি এশা মির্জার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদি হয়েছেন এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা। আসামি করা হয়েছে এশা মির্জার ভাই জনি মির্জা এবং সৌরভ নামে অপর একজনকে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) এশার লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এর আগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা মামলাটি করেন। লাশটির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা মির্জা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এশা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

মামলার পর বড় মনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তরবর্তীকালিন জামিন লাভ করেন। পরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি ক্লিনিকে এশা ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেয়া ওই শিশুটির বাবা বড় মনি নন বলে উল্লেখ করা হয়। গত ৯ অক্টোবর বড় মনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন। ধর্ষণের এই মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।