আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য রবিবার (২৬ নবেম্বর) পর্যন্ত গাজীপুরের ৫টি আসনে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে এদিন পর্যন্ত কোন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন নি। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসন রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রবিবার পর্যন্ত পাঁচটি সংসদীয় আসন থেকে স্বতন্ত্র্য সহ ৮টি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ১০জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর উপজেলা ও গাসিক’র ১ হতে ১৮নং ওয়ার্ড) আসনে তৃণমুল বিএনপি’র চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী, গণফ্রন্টের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর-২ (গাসিক’র ১৯ হতে ৩৮নং, ৪৩ হতে ৫৭ নং ওয়ার্ড এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসন থেকে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর উপজেলা ও গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন) আসন থেকে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, স্বতন্ত্র্য প্রার্থী মোঃ জামিল হাসান ও জাকের পার্টির মোঃ আলাউদ্দিন, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া উপজেলা) আসন থেকে স্বতন্ত্র্য প্রার্থী শামসুল হক এবং গাজীপুর- ৫ (কালীগঞ্জ উপজেলা, গাসিক’র ৩৯নং হতে ৪২নং ওয়ার্ড এবং গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন) আসন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী উর্মি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর আল আমিন দেওয়ান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে এদিন পর্যন্ত কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন নি।

তিনি আরো জানান, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৯। তাদের জন্য মোট ৯৩৫টি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ি ৩০নবেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের রিটার্নিং/সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দিতে হবে। যা ১-৪ ডিসেম্বর বাছাই, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫-৯ ডিসেম্বর, আপিল নিস্পত্তি ১০-১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্ধ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।