দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পাবনা-২ (সুজানগর ও বেড়ার একাংশ) আসন থেকে আহমেদ ফিরোজ কবির হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেবারে নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক।

নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে ভূষিমালের ব্যবসা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে তার মৎস্য চাষ। মূলত আয় তার এই দুই খাত থেকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাখিলকৃত হলফনামানুসারে তার বার্ষিক আয় কৃষি খাত থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। জাতীয় সংসদ সদস্য বাবদ সম্মানী ২৩ লাখ ২২ হাজার ৭৫ টাকা এবং মৎস্য খামার থেকে ১৫ লাখ টাকা। তা মোট বার্ষিক আয় ৪৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫ টাকা।

অস্থাবর সম্পদে তিনি উল্লেখ করেছেন, নগদ টাকা আড়াই লাখ, ব্যাংকে জমা ২৫ লাখ ১ হাজার টাকা, যানবাহন বাবদ ৯০ লাখ টাকা, ইলেক্ট্রনিক্সে ১ লাখ ও আসবাবপত্রে ১ লাখ টাকা। ১৫ ভরি স্বর্ণ থাকলেও তার মূল্য তার অজানা। মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমান ১ কোটি ১৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদে তিনি ২০ বিঘা কৃষি জমি উল্লেখ করেছেন। যার বন্টন এখনও হয়নি। দুটি সেমিপাকা ঘরের ৫ টি রুম রয়েছে। রয়েছে একটি মৎস্য খামার। বর্তমান বাজার মূল্য তার অজানা রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ২০ বিঘা জমি (বন্টন হয়নি)। অকৃষি ২০ শতাংশ জমি যার আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার টাকা এবং দালান ঘরের মূল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদে নগদ টাকা, ব্যাংক জমা, মোটর সাইকেল, স্বর্ণ, ইলেক্ট্রনিক্স ও আসবাবপত্র মিলিয়ে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। নিজের ১৫ ভরি, স্ত্রীর ৫০ ভরিসহ ৭৫ ভরি স্বর্ণের মূল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার বার্ষিক আয় ছিল কৃষি খাত থেকে ২০ হাজার ও ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মিলে মোট ২ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ৪০ লাখ ৪ হাজার টাকার। আর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন পারিবারিক যৌথ মালিকানায় তার অংশ মোতাবেক কৃষি জমি, দালান ও ঢাকায় পৈত্রিক ৩ কাঠা প্লট মিলিয়ে ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকার সম্পদ। এ সম্পদগুলো তার পিতা প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিনের হওয়ায় পারিবারিক ভাবে এখনও বন্টন হয়নি।

স্ত্রীর চাকুরি সুবাদে অর্জিত নগদ ও ব্যাংকের অর্থ, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত স্বর্ণ, ইলেক্ট্রনিক্স পন্য ও আসবাবপত্র মিলিয়ে সীমিত সম্পদের তথ্য বিবরণী দেয়া হয়েছে।