পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বস্তু বাবা‘র কাঁধে সন্তানের লাশ! এ ভার বহণ বড়ই কঠিন-হলেই নির্মম সত্য কখনো কখনো মেনে নিতেই হয় এই নির্দয় পৃথিবী’র মানুষরূপী কতিপয় পেশাজীবিদের কর্মক্ষেত্রের নিম্নমাণের, দায়িত্বহীন সেবাগত মাণের কারনে। এমন নির্মমতার শিকার শিশু আয়ান এক সপ্তাহ মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলো-চড়লো বাবা‘র কাঁধে না ফেরার দেশের যাত্রী হয়ে । শিশুটি মরে প্রমাণ করলো স্মার্ট বাংলাদেশের ডাক্তারদের পেশাগতমাণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো নিম্ন পর্যায়েই রয়ে গেছে।

রোববার ৭ জানুয়ারী রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সাঁতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান টানা এক সপ্তাহ লাইফ সার্পোটে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

জানাযায় গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খতনা করানোর জন্য আয়ানকে সাঁতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে নেন তার অভিভাবকরা। সেখানে অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই তাকে ফুল অ্যানেস্থেশিয়া (জেনারেল) দিয়ে সুন্নতে খাতনা করান চিকিৎসক। খতনা শেষ হওয়ার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ এর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৭ দিন পর রোববার রাতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতা, গাফিলতিকে দায়ী করেছেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, আমার শিশুকে অতিরিক্ত এবং ফুল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে খতনা করার পরই সে মূলত: মারা গেছে। এতদিন ধরে সংশ্লিষ্টরা মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করছিল। শেষে নির্বাচনের দিনকে টার্গেট করা হয়, যাতে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কম প্রচার পায়। আমার শিশু হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন মা হিসেবে তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্টু বিচার করবেন। সন্তান হারানোর শোকে বিলাপ করছেন আয়ানের বাবা-মা ও স্বজনরা।
ডাক্তারদের অবহেলায় আর যেন কোন বাবার বুক খালি না হয়।