রাজশাহীর চন্দ্রিমায় নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় মূল হোতা আলমগীর রয়েল ও তার স্ত্রীসহ তিনজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- এ ঘটনার মূলহোতা নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেঁতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার আলমগীর রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বড় বোন দিলারা বেগম (৩৫) এবং তাদের সহযোগী চন্দ্রিমা থানার উপরভদ্রা এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২)।

র‌্যাব-৫-এর সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বুধবার ভুক্তভোগী নারী কেনাকাটার উদ্দেশ্যে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন এলাকায় যান। সেখানে তার মোবাইল ফোন চুরি যায়। এ সময় পূর্বপরিচিত হওয়ায় আলমগীর তাকে মোবাইল পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে।

র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ওই বাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল আলমগীরের স্ত্রী হেলেনা খাতুন, তাদের সহযোগী দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগম। তারা গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে তাকে আটকে রাখে।

ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাবের একটি দল। এ সময় ওই বাড়ি থেকে আলমগীর ও তার স্ত্রী হেলেনাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নারী ও শিশু আইনে একটি মামলা আছে।