মিয়ানমারে চলা সংঘর্ষের মাঝে আতঙ্কে সাগরে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। সীমান্তের কাছে থাকা লোকজনকে থাকতে হচ্ছে ভয়ে। তবে এপারে সর্তক পাহারায় আছেন বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমার ওপারে গোলাগুলির চললেও এপারে ফায়ারের শব্দ আসছে।

শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত থেকে মিয়ামানের সীমান্ত প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরত্ব। মাঝখানে রয়েছে নাফ নদী। এ কারণে মিয়ানমার থেকে এপারে গুলি বা মর্টার শেলের গোলা পড়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেনা। তবে এ গোলাগুলির ঘটনা জেলেরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও উখিয়ার পালংখালিসহ ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও আমাদের শাহপরীর দ্বীপে তেমন প্রভাব ছিলো না। রাখাইনের মংডু শহরসহ আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি শুরু হলে এপারে বিকট শব্দ আসলেও বড় কোনো সম্যসা দেখা যায়নি। তবে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছে না। এ কারণে শত শত জেলে বেকার বসে আছেন।

শাহপরীর দ্বীপে নাসির উদ্দীন নামের এক চায়ের দোকানদার বলেন, মিয়ানমারে গোলাগুলির আগে এখানে পরিবেশ শান্ত ছিলো। তখন শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে টুরিস্টসহ বিভিন্ন লোকজন ঘুরতে আসতো। গত কয়েকদিনে ওপারে চলা সংঘর্ষে এখন লোকজনের আসা কমে গেছে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। ওপারে গোলাগুলির চললেও এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।

শাহপরীর দ্বীপ ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ওপারে গত কয়েকদিনের চলা সংঘর্ষ থেকে আমাদের এপারে বিকট শব্দ ভেসে আসতো। তবে এখন কিছুটা শব্দ কম আসে। এপারের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের টহল বাড়ানোর হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল বলেন, আজ সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত গিয়েছিলাম। ওপারে চলা সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে লোকজনকে সর্তক করা হয়েছে। যতটুকু দেখলাম এপারে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে যেন না পারে, সে লক্ষ্য বিজিবির পাশাপাশি পুলিশের টিম কাজ করছে।