গাজীপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবসের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকতার পর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, র‌্যালী ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। ভোরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এসময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ প্রশাসন ও পিবিআই সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণও শ্রদ্ধা জানান। সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী এবং সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটিতে গাজীপুরস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও লেডিস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ শহীদদের বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। এরপর শহীদ বরকত ষ্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের পর শহীদদের আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। বিকেলে শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। পরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠাণ অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে প্রত্যুষে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে ৩১বার তোপধ্বনি করা হয়।