বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে দু’টি ব্যাংকের তিনটি শাখায় সন্ত্রাসী হামলা অস্ত্র ও টাকা লুটের পর পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। পুনরায় সন্ত্রাসী হামলার ভয় ও আতঙ্কে থানচি উপজেলা সদরে বিভিন্ন এলাকার লোকজন নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছে। এলাকায় সেনাবাহিনী পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এ দু’টি উপজেলায় নিরাপত্তা বাড়াতে জেলা শহর থেকে এপিবিএন ও র‍্যাব সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ শনিবার রুমা উপজেলা সফরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স ও সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করবেন। পরে তিনি বেলা সাড়ে ১২টায় বান্দরবান জেলা সদরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় ও সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নিবেন।

রুমা সোনালী ব্যাংকের লুট করা অস্ত্র উদ্ধারে ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান এখনো শুরু হয়নি। তবে পুলিশ সেনাবাহিনী বিজিবি র‍্যাব আলাদা আলাদাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে।

পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীন ও র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিষয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার পর খুব শিগগিরই কম্বিং অপারেশন শুরু হতে পারে।

গত মঙ্গলবার রাতে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র চার শতাধিক গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। সাথে অপহরণ করে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। এর পরের দিন বুধবার একই সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা পুনরায় থানচি উপজেলা সদরে হামলা চালিয়ে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে আবার হামলা চালানো হয় থানচি বাজারে। পরপর তিন দিনের এই হামলার ঘটনায় বান্দরবানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ এপ্রিল পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর বর্ষবরণ বৈশাবি উৎসবের আমেজ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।