হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের রেমা কালেঙ্গার অভয়ারণ্যের মঙ্গল্যাবাড়ী গারিংপাড়ায় আদিবাসী এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে একদল যুবক। ধর্ষণ করতে না পেরে যুবকরা তাকে ও তার স্বামীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। বর্তমানে তাদের চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার দুদিন পরও থানায় মামলা হয়নি। মামলা না দিতে এক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা খলিল মিয়া ও তার বাহিনী আদিবাসী নারীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ায় পথে একই এলাকার ইউপি সদস্য খলিল মিয়ার ভাতিজা মেহেরুল্লার ছেলে মারুফ মিয়া ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে এমতাজ মিয়া ওই নারীর গতিরোধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা মহিলাটির গালে মুখে কামড়ানো ছাড়াও শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানি করে এবং পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেয়। এ সময় তার চিৎকারে স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও পিঠিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা রাতে তাদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্ত দেববর্মা, সিলেট আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জনক দেববর্মা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের বিচার দাবি করেছেন। তারা বুধবার বিকালে চুনারুঘাট থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জনক দেববর্মা।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, এ বিষয়ে এখনো আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।