আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ, তাদের শরীরে শ্রমিকের রক্ত লেগে আছে, তাই যেকোনো ইস্যুতেই আন্দোলন খোঁজে।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের শক্তি তাদের (বিএনপি) নেই। আন্দোলনে জনগণ লাগে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, আদমজীর মতো জুট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজ কতবার বাড়িয়ে মজুরি ১২ হাজার ৫শ টাকা করেছে। শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

তিনি বলেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে এ শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র। দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপিকে আওয়ামী লীগ ভাঙতে চায় না, নিজেদের কোন্দলেই বিএনপি ভাঙার জন্য দায়ী মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। একেকজনের একেক কথা। বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রিমোট কন্ট্রোল নেতাকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। সাহস থাকলে রাজপথে আসুন। লন্ডনে বসে আন্দোলন হবে না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সরকারের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি শ্রমিকদের মাধ্যমেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। সকলেই তার সুবিধা পাচ্ছেন। অতীতে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা শ্রমিকদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল। তারা শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করেনি। এই দেশে শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। তারপরে তারই কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।