সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলীর জানাজার নামাজ বিকাল সাড়ে ৫য় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানাজার নামাজের আগে বক্তব্য দেন- প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।

মরহুমের পুত্র রিয়াজ হোসেন খন্দকার এবং মেয়ে রাদিয়া খন্দকার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বক্তব্য দেন।

এ সময় হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, এবি পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফজলে এলাহি অভিসহ সহস্রাধিক আইনজীবী জানাজায় শরিক হন।

এজে মোহাম্মদ আলী একজন আপাদমস্তক আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৫১ সালে নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। এজে মোহাম্মদ আলী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।

তিনি ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।

এছাড়াও তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।