তুরস্কের নির্মানাধীণ প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এক নম্বর ইউনিটের টার্বাইন হল এ, অত্যাধুনিক হরাইজন্টাল ময়েশ্চার সেপারেটর রীহিটার (এমএসআর) এর স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এমএসআর গুলোর কাজ হলো বাষ্পের তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা। উল্লেখ্য, এই বাষ্পই টার্বাইনের রোটরের ব্লেডগুলোকে ঘুরায়। দৈনিক বার্তাকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে রসাটম এ তথ্য জানিয়েছে।

এমএসআর এর কার্যক্রমের মূলনীতি হলো সেন্ট্রিফিউগাল এক্সিলারেশন, যার ফলে বাষ্প এবং পানির পৃথকীকরণ সম্ভব হয়। সেপারেটরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম কালে বাষ্প ও পানির মিশ্রণ বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে। পানির বড় কনাগুলো সেপারেটরের দেয়ালে জমা পড়ে, যেগুলো পরে ড্রেইন নজলের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। ভেজা বাষ্পের সঙ্গে সেপারেটরের যে দেয়ালের সংস্পর্শ ঘটে তা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফেরিটিক স্টেইনলেস স্টীল, যা ক্ষয় প্রতিরোধী। প্রতিটি সেপারেটরের ওজন ৩১৭টন, দৈর্ঘ্য ২২মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫মিটার।

তুরস্কের আকুইয়ু এনপিপি’র জন্য বিশেষভাবে এই হরাইজন্টাল এমএসআর তৈরি করেছে রসাটম। ইতোপূর্বে রাশিয়ায় যেসকল এমএসআর তৈরি হতো, সেগুলো ছিল ভার্টিক্যাল। নতুন এই ডিজাইনে নির্মানগত ও কার্যক্রমগত অনেক সুবিধা রয়েছে। এগুলো আগের গুলোর তুলনায় দক্ষ, নির্ভরযোগ্য ও মূল্যসাশ্রয়ী।

আকুইয়ু নিউক্লিয়ারের ফার্স্ট ডেপুটি সিইও এবং আকুইয়ু এনপিপি নির্মান প্রকল্পের পরিচালক সের্গেই বুচকিখ জানান, “নতুন হরাইজন্টাল এমএসআর স্থাপনে সময় অনেক কম লেগেছে। টার্বাইন প্ল্যান্ট পরীক্ষার পূর্বে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ”।

আকুইয়ু এনপিপি তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটিতে চারটি ইউনিট থাকবে এবং প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০মেগা-ওয়াট। রিয়্যাক্টর হিসেবে ব্যবহৃত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০। উল্লেখ্য, একই ধরনের রিয়্যাক্টর বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও স্থাপিত হয়েছে।