ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ আরেকজন আটক করেছে র‍্যাব-১২। আজ শনিবার রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আমলে নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কমিশনের উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানায়, গত ১০ মে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কুংফু-কারাতে শেখানোর বদলে কেড়ে নিতেন মেয়েদের সম্ভ্রম!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে।

প্রতিবেদন মতে, কুংফু-কারাতে শেখানোর ছলে মেয়েদের সম্ভ্রমহানী করেছেন বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। এতে রাজি না হলে মেয়েদের মারধর করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অপকর্মের অসংখ্য প্রমাণ, আপত্তিকর ছবি এবং অডিও রেকর্ড পেয়েছে যমুনা টেলিভিশন।

প্রতিবেদন পর্যালোচনা থেকে কমিশন জানায়, অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ ট্রেইনি নারী। আর এই নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতেন নিউটন। এরপর ভালো চাকরি ও বিদেশে খেলতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের মতো অপকর্ম করতেন অভিযুক্ত নিউটন। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, স্বর্ণজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘৃণিত অপরাধে জড়িত তিনি। জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।